প্রতিদিন খাঁটি ঘি খাওয়ার উপকারিতা:
আসলেই কি ঘি খেলে উপকারিতা পাবেন ? আমাদের মধ্যে অনেকেই বলে, ঘি খেলে নাকি ওজন বাড়ে, ঘি এ প্রচুর পরিমান কোলেস্টেরল আর এই কোলেস্টেরল হৃদয় কে দুর্বল করে । আসেন আসল সত্য জেনে নেওয়া যাক, একাধিক গবেষণা বলছে, প্রতিদিনের খাবারে ১ চামচ ঘি খুবই স্বাস্থ্যকর। কারণ, ঘি তে রয়েছে একাধিক উপকারী ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই প্রতিদিন ঘি খেলে শরীর, মন এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে একাধিক রোগ শরীরের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না।
ঘি এর একাধিক উপকারিতা : এখন আমরা ঘি খেলে যে যে উপকারিতা পাওয়া যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
১. হজমে উন্নতি ঘটায়: আমাদের প্রতিদিনের খাবারে আমরা বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে থাকি। আর এই ঘি আমাদের খাবার হজমে সাহায্যকারী বিভিন্ন প্রকার স্ট্যমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে, আমাদের পেটের নানা রকম সমস্যা, যেমন বদহজম, গ্যাস-অম্বল ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। এখানেই শেষ নিউট্রিশনিস্ট রুজুতা দিওয়াকারের কথায়, খিচুড়ি বা পুরান পুলির মতো খাবার হজম করাতেই এইসব রান্নায় ঘি দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। ঘি যেকোনও রিচ রান্না ঝটপট হজম করতে সাহায্য করে।
২. পুষ্টির ঘাটতি মেটায়: প্রতিদিন ঘি খেলে শরীরে যেমন ভিটামিন এ এবং ই-র ঘাটতি মেটে তেমনি অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্টের মাত্রাও বাড়ে। ফলে, পুষ্টির ঘাটতি দূর হওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এতে করে আমাদের শরীলের ধারেকাছে ছোট-বড় রোগ ঘেঁষতে পারে না।
৩. এনার্জি বাড়ায়: বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘিতে উপস্থিত উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড এনার্জির ঘাটতি দূরে করে শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। আবার শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়। তাই, গরমে না হোক শীতকাল জুড়ে পাতে ঘি থাকতেই পারে।
৪. ভিটামিন শোষণ করে: বেশ কিছু স্টাডি বলছে, ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ভিটামিনের শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে কখনও ভিটামিনের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৫. শরীরের তাপ বাড়ায়: খাবার হজম হলে, এনার্জি লেভেল হাই হলে আপনা থেকেই শরীর গরম থাকবে। যা শীতকালে সর্দি-কাশি দূরে রাখতে সাহায্য করে। এই কারণেই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে শীতকালে বেশি করে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৬. মগজাস্ত্র ধারাল হয়: নিউট্রিশনিস্টদের মতে, স্নায়ুর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রেন পাওয়ারের উন্নতিতেও ঘি-এর কোনও বিকল্প নেই। এর মধ্যে উপস্থিত ওমেগা-৬ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে এই দুই ফ্যাটি অ্যাসিড ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমারসের মতো রোগ আপনার থেকে দূরে রাখে। তাহলে আজ থেকে ঘি খাচ্ছেন তো?
৭. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: নিয়মিত ঘি খেলে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি দূর হয়। ফলে দৃষ্টিশক্তির যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি ছানি, গ্লকোমার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।
৮. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: ঘি-তে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি রেডিকাল কমিয়ে দেয়। ফলে কোষের বিন্যাসে পরিবর্তন হয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে অনেকেই রান্নায় ঘি দেন। এই অভ্যাস খুবই ভালো। কারণ ঘি-এর ‘স্মোকিং পয়েন্ট’ খুব হাই। ফলে বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলেও কোনও ক্ষতি হয় না।
৯. বয়স্ক ভাব কমায়: ত্বক শুকিয়ে আপনি বুড়ি? আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, ঘি-এর মতো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার দুটো নেই। এটি প্রচণ্ড শীতেও ত্বক এবং ঠোঁটের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তাই অল্প পরিমাণ ঘি-এর সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে মুখে মাসাজ করলে ৩৮ বছরের আপনি হাসতে হাসতে ১৮ -২০ বছরের যুবতী -যুবক।
১০. খুশকি কমে: ভাবছেন, ঘি-এর সঙ্গে খুশকির কী সম্পর্ক? অনেকেই হয়তো জানেন না, নিয়মিত স্কাল্পে ঘি লাগিয়ে মাসাজ করার পর হালকা গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে খুশকির প্রকোপ কমবেই।
১১. ওজন ঝরায়: লোক মুখে শোনা কথার একদম উলোট ঘি। ঘি তৈলাক্ত খাবার হলেও এতে ওজন বাড়ে না, ঝরে। একাধিক স্টাডি বলছে, ঘি-তে উপস্থিত এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এবং এতে তো ওজন কমবেই।
এতক্ষনে বুঝেগেছেন ঘি আসলে কতবড় উপকারী দ্রব্য। তবে হ্যাঁ , এই সব উপকার পেতে অবশ্যই খাঁটি ঘি খেতে হবে। আর আপনাদের কথা ভেবে আমরা আমাদের নিজেস্ব কারখানাই গ্রাম থেকে গরু ও মহিষের দুধ সংগ্রহ করে দুধ থেকে মেশিনের সাহায্যে কিরিম (কাঁচা মাখম বা ননী) বের করে তা পরিষ্কার পাত্রে জ্বাল দিয়ে ঘি তৈরি করি। আমাদের এই ঘি ১০০% খাঁটি এটা আমরা নিশ্চিত। আপনিও নিশ্চিন্তায় আমাদের থেকে ঘি নিয়ে খেতে পারেন।
ধন্যবাদ
Sohel Raza –
Ghee ta onek valo. khashfood ar thekou valo. Thanks for Ghee and Modu
admin –
Our all product 100% pure. Thanks for your Feedback.
mimiha120 –
আমি ভয়ে ভয়ে অর্ডার করেছিলাম। ঘি হাতে পাওয়ার পরে ভয় কেটেছে। যাই হোক নামের সাথে কাজের মিল আছে বেশ।
admin –
ভয়ের কিছু নাই। আমাদের অফিসে এসেও প্রোডাক্ট গ্রহণ করতে পারেন। আমরা পেমেন্ট আগে নিয়ে অর্ডার কনফ্রম করি, কারণ ডেলিভারি করার পরে অনেকে প্রোডাক্ট গ্রহণ করে না। এতে আমাদের দুই বার কুরিয়ার খরচ হয়।
Hamid –
Good product
admin –
Thanks
Nobo Kumar –
khati gheeeeee…. 100 out 100
joty231 –
খাঁটি ঘি
polok sarker –
nice work
bijoly76 –
ঘি এর মান এমন ভালো থাকে যেন। পরবর্তীতে আরো অর্ডার করবো।
Farhana Islam –
valo ghee ate kno sondho nai. tobe plastik ar bowam kno? kacher bowam hole valo hoto.
admin –
ঘি এর মান নিয়ে কেন সন্দেহ নাই এটা শুনে ভালো লাগলো। আর আমরা কেন কাঁচের বয়ামে ঘি পাঠায় না? কারণ আমাদের ঢাকা শহরে কেন অফিস নাই তাই আমাদের যশোর প্রধান অফিস থেকে কুরিয়ার করে ঢাকাই প্রোডাক্ট পাঠায়। এত দূর থেকে প্রোডাক্ট কাঁচের বয়ামে পাঠালে ভেঙ্গে যাবার ভয় থাকে। তাই আমরা প্লাস্টিকের ভালো মানের বয়ামে প্রোডাক্ট পাঠায়। ধন্যবাদ আপনাকে